শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

নামের মাহাত্ম্য


আমার কোন একটা জিনিষ যেটা আমার চেয়ে অন্য লোকে বেশী ব্যবহার করে একথা কাউকে জিজ্ঞাসা করলে ঠিক উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম হবে। উত্তরটা হচ্ছে আমার নাম। ছোটবেলায় বাবামা আদর করে অনেক সময় এমন নাম রাখেন যেটার মানে আমাদের জানা থাকার সম্ভাবনা কম। যেমন অয়নান্ত। বড় নাম সুর্য্যতিলক কেন? সূর্য্য কিম্বা তিলক হলেই চলত। এক তো বানান ভূল হবার সম্ভাবনা আর তাছাড়া লিখতেও তো সময় লাগে। আবার যাদের ছোট নাম রাখার ইচ্ছে, তারা আজকাল দু অক্ষর থেকে এক অক্ষরের দিকে পা বাড়িয়েছেন। কিন্তু মজা এই যে তারা কেউই ভাবতে পারেন না স্কুল কলেজ বা বন্ধু বান্ধবদের পাল্লায় পরে তাদের দেওয়া অত সুন্দর নামটার হাল কি হতে পারে। নবেন্দু হয়ে গেল নবু, হরিশচন্দ্র হলেন হরে। অনুরাধাকে অনু বা রাধা করা যেতে পারে কিন্তু প্রেমশঙ্করকে না করা যাবে প্রেম, না শঙ্কর খুব সম্ভবত কলেজে ওটা হবে পিএস। তবে মানিকচন্দ্র কে কি মাসি বলা যেতে পারে (মানিকের মা আর চন্দ্রর সি)?
আমার নাম দিলীপ তাকে ছোট করতে অসুবিধা হতে পারে তাই পদবীর উপর আক্রমন করে ব্যানার্জী থেকে করা হল সেটা ব্যান। এই নাম দেওয়ার মালিক আব্রাহামকে আমি বানালাম আবু আর তার থেকে বু। এবার আমাদের দুজন কে একসাথে দেখলে অন্যরা আমাদের ডাকত ব্যানবু বা ব্যাম্বু। ডাকটা শুনে কি বাঁশ দেবার ইচ্ছে হয়না?
এ অভ্যাসটা বোধহয় কম কথা বলে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য। কিন্তু শীলা বলতে যত সময় বা নিশ্বাসের খরচ হয়, শিলী বলতে তার থেকে কম হয় না। তবে এই অভ্যাস টা কেন?
এবার আসা যাক বিশেষ নামের দিকে। আগেই বলেছি আজকাল কিছু লোকেরা দুই অক্ষর থেকে এক অক্ষরের নাম রাখছেন। যেমন শ্রী, ধী। এদের ছোট করব কি ভাবে? পদবী ছোট করে। যদি নামটা শ্রী দে হয় তবে?

লেখাটা আপনাদের ভাল লাগল কিনা জানাতে ভুল্বেন না। নীচে কমেন্টস এ লিখে দেবেন।.. .. .. দিলীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন