শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১২

পুরন দিনের কথা

আম্মু আগুনের মধ্যে কাঠটাকে ভাল করে গুজে দিয়ে আবার এসে শুয়ে পড়ল। শীতটা বেশ ভাল করেই জাকিয়ে পড়েছে। আর জানয়ারগুলো আগুনের তেজ কমে গেলেই কাছে এসে হামলা করতে চায়। আগুনের শিখার উপর দিয়ে তাদের চোখগুলো যে জলছে তা বেশ ভাল বোঝা যায়। এখন আগুনটা উস্কে দেবার পরে আর জানোয়ার গুলো রাতে আসতে সাহস করবে না। সকাল পর্যন্ত চলে যাবে। ওদিকে ইন্দ্র তার ভালুকের ছালটাকে ভাল করে জড়িয়ে নিয়ে নাক দিয়ে আওয়াজ বার করছে। সন্ধে হবার আগে বুনো শুয়োরটার মাংস ঝলসে নিয়ে খাওয়া হয়েছে। কিছুটা কালকের জন্য পড়ে আছে। এখন আর ক্ষিদে নেই, দরকার শুধু ঘুমের আর উত্তাপের। ইন্দ্রর কাছে সে উত্তাপ পাওয়া যাবে না। আম্মু একটু আগুনের দিকে বেশী এগিয়ে এসে শুল। রাত আসতে আসতে  শেষ হয়ে আসে।  এভাবেই ওদের দিন কাটে। যতদিন ধারে কাছে মাংসওয়ালা জানোয়ার পাওয়া যাবে ততদিন ওরা এই গুহাতেই থাকবে। সন্তান সন্ততি হবে  আবার যখন জায়গাতে কম পড়বে তখন অন্য জায়গার খোঁজে রওয়ানা হবে।

আসুর একটা ফলের ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে চুষছিল। বাইরের খোসাটা তেতো লেগেছে তাই ফেলে দিয়েছে। কিন্তু ভেতরটা বেশ মিষ্টি। আসুরের রোমশ হাতের কনুই পর্যন্ত ফলের রস গড়িয়ে পড়ছিল কিন্তু ফলটাকে সে খুব আরাম করেই খাচ্ছিল। বিকেল বেলায় যখন পাহাড়ে উঠে আসছিল তখন একটা গাছের নীচে ফল গুলো পড়ে থাকতে দেখে দুটো নিয়ে এসেছিল। আগে দেখেছে জানোয়ারে এই ফলটাকে খাচ্ছে তাই জেনেছিল যে ফলটা বিষাক্ত নয়। তস্করী দূর থেকে দেখে এসে ছোঁ মেরে একটা নিয়ে আসুরের মতন করে চুষতে শুরু করে দিল। ভাষাহীন সমাজে আওয়াজ করেই তস্করী বুঝিয়ে দিল তার খুব ভাল লেগেছে এবং আরো চাই। ফলটা খাবার পরে দেখল যে ভেতরে একটা শক্ত কি আছে যাতে কোন রস নেই দুজনেই সেগুলো ছুড়ে পাহাড়ের নীচের দিকে ফেলে দিল, আর  ঐ রস মাখা হাতে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে গুহার দিকে এগিয়ে গেলদিন শেষ হয়ে এল।

বরুন তার দলের ছেলেদের নিয়ে মাঠে শিকার করতে গিয়ে একটা নেকড়ের মতন ছোট জানোয়ারকে দেখতে পেল। সেটা তাদের দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল না কিম্বা তেড়ে এসে আক্রমণ করল না। হাতের কাছে একটুকরো হাড়ের সাথে মাংস ছিল তাই ছুড়ে মারতে বরং সেটাকে কামড়ে নিয়ে খাবার চেষ্টা করতে লাগলো। তার পরে আরও কিছু পাবার অপেক্ষায় থাকল। পরপর কদিন এই রকম দেখার পরে বরুন বুঝতে পারল জানয়ারটা তার কাছে খাবার পাচ্ছে বলে তার অনুগত হয়ে পড়েছে। এখন বরুন শিকারে বেরলে পড়ে সেই জানোয়ারটাও সাথে যায় আর তাড়া খাওয়া জানোয়ারের পালানোর পথ আটকায়। শিকারে খুব সুবিধা হতে লাগলো।

ইতিমধ্যে আম্মু আর ইন্দ্র মারা গেছে। তাদের প্রজন্ম ক্রমশ বেড়েছে। শিকার করে আর আজকাল সবার খাবার জোটে না। আর তাড়া খাওয়া জন্তু গুলোও আক্রমন করলে কেউ না কেউ আঘাতও পায়। সেই ঘায়েল হওয়া সাথীর আর্ত চিৎকার রাতের ঘুমে ব্যঘাত ঘটায়। এই সময়ই আম্মুর প্রজন্মের নজরে পরে মাঠের এক ধরনের দিকে যাতে দানা হয়েছে। কিছু জন্তুও সেই ঘাসগুলো খেতে আসছে। ওরা জন্তু গুলোর মতন সেই দানাগুলোকে খেতে গিয়ে কোন মজাই পেলনা। দলের একজন আগুনের ধারে বসে ঐ দানাওয়ালা ঘাস নিয়ে আগুনের মধ্যে খেলা করছিল। সেই আধপোড়া দানাগুলো মুখে দিয়ে দেখল তার আস্বাদ অনেক ভাল শুরু হল তাদের ঐ ধরনের ঘাসের খোঁজ। খোঁজ করতে গিয়ে দেখল যে দানাগুলো মাটিতে পড়ে যাচ্ছে, পাখীতে খেয়ে নিচ্ছে আর ঘাসের উপর যখন থাকছে তখন জন্তু জানোয়ারেরা সেই ঘাস গুলো খেয়ে যাচ্ছে। দলের ছেলেদের উপর আদেশ হল যেখানে ঐ ঘাস আছে তার কাছেই কোন গাছের উপর তাদের আস্তানা নিতে। অখান থেকে পাখী বা জন্তুদের তাড়িয়ে দিতে সুবিধা হবে,

 কলেজে পড়ার সময় বনফুলের স্থাবর আর জঙ্গম উপন্যাস দুটি পড়ে খুব ভাল লেগেছিল।তারই এই অক্ষম অনুকরন আপনাদের কি রকম লাগবে জানি না, তবে ছোটবেলায় শুনেছি কচুগাছ কাটতে কাটতে মানুষ কাটায় হাত পাকে। তাই এই প্রচেষ্টা।

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১২

what is madness পাগলাম কাকে বলে

আমি পাগলামি আর সাদা কালো টাকার উপর একটা ছোট কবিতা লিখেছি। তার ভিডিও নীচে দিলাম সাথে তার ইংরাজী অনুবাদ (আমার অপটু হাতে) লিখে দিলাম জানিনা কিরকম লাগবে

WHAT IS KNOWN AS MADNESS?
I do not dream, it is forbidden for me.
Why, well let me tell you
The market is depressed throughout the world
Making everyone to search for a new job to meet his requirements
Retrenchment taking place everywhere, none will be spared
But, if it's wrong if I am retrenched,
I do not understand the words Outsourcing, In-house etc.
Keep them with you in your dictionary
I only want to know when my salary will be paid
Or like kingfisher will not be paid
Well. I do not have a bank balance to sustain me
And why should I work without any remuneration
You might have saved a packet earlier
This makes up your needs.
Why should I dream that my payment will be tomorrow
As depressed market does not get revived overnight,
You may dream, that the market will be revived shortly
People like you says it is better to have depression
Which makes black money white.
You jump with joy when remunerations are paid in one lot
To make you to carry a sack to bring the notes to home.
And then that money will be all white and not tainted black.
The only difference we have between us,
Though having same citizenship
You have some black money to spend or save
But I have neither white nor black money
It makes me carefree to dance and sing merrily
Even after losing my last penny.
Do you call this is madness? Can you define a mad man?
I know that speaking loudly about black and white money
is not called MADNESS.


 I require your comments, which will encourage me to write more. practises makes a man perfect so don't allow me to loose heart.


শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১২

যা আমি চেয়েছিলাম


আজকে একটা বাংলা কবিতা ভিডিও করে নীচে দিলাম সাথে ইংরাজীতেও
The translation of the bangla poem in audio view is as under. 


"a skinny tiny person i am
but wanted to slam great Khali in a bout
i limp
still wanted to win over Bikila in marathon
i somehow get through in exams
still i desired to get a gold medal
i live day in and day out
but wanted to build another Taj 
as you were by my side then 
and i believed those dreams are within my reach
waiting to be grasped 
now i am alone. all alone
you have left me 
and do not want to dream 
only i want to know
is there anyone with you today
who dreams like me
as i know that
only you can make on to dream."



I might have done mistakes but always require your inputs.




শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১২

জলখাবারে কি খাব?



ছোটবেলায় বাড়ীতে দেশের বাড়ী থেকে ঠাকুর্দা আসতেন। তখন আমরা খুবই ছোট। মাকে দেখতাম এত্তবড় ঘোমটা টেনে দাদুর জলখাবার নিয়ে আসত। তার পর জল ছিটিয়ে আঁচল দিয়ে খাবার জায়গাটা মুছে দিয়ে তার পরে থালা রাখত। থালায় সাদা সাদা ফুলকো লুচি, আর একটা বড় বাটীতে দুধ। দেশের বাড়ীতে গরু ছিল, কলকাতায় গরু নেই, গয়লা এসে দুধ দিয়ে যায়। সেটাতে তখনকার দিনেও ২৫-৩০ ভাগ জল মেশান থাকত। তাই তাকে ফুটিয়ে ফুটিয়ে প্রায় রাবড়ির অবস্থায় নিয়ে আসা হত। সাথে আলু ভাজা।  কোন সময়ই একটা লুচিতে সাদা থেকে লাল ভাব দেখিনি। সেটা ভাজা হত ভাদুয়া ঘিতে। ঘি গাওয়া আর ভঁয়সা মানে গরুর দুধ আর মোষের দুধ থেকে তৈরী ঘি। ভাদুয়া ঘি ছিল ভঁয়সা ঘিউত্তর প্রদেশের ভাদুয়া থেকে তৈরী হয়ে আসত তাই তার নাম ছিল ভাদুয়া। দোকানে ১৫ সেরের টিনে করে থাকত।

বাবাকে দেখেছি স্কুলের ছুটির দিনে লুচি দিয়ে জলখাবার খেতে। ঐ সময় একটা আরও ব্যপার ছিল। বাড়ীতে একটা বেড়ালছানা ছিল, সেটা এসে বাবার থালার পাশে বসত আর বাবা তাকে লুচির ফোলা ভাগের থেকে পাতলা চাদরের মত অংশটা ছিড়ে দিতেন আর বেরালটা সেটা খেত। তখন লুচি ছিল সাদা ময়দার তৈরী। আটার তৈরী লুচিকে পুরী বলা হত এবং সেটা সাধারনত অবাঙ্গালী মিষ্টির দোকানেই পাওয়া যেত। সাথে হয় কুমড়োর ঘ্যাঁট নয় ঘন ছোলার ডাল।

আটা দিয়ে আমরা লুচি বানান শুরু করলাম যখন ময়দাতে ভেজাল দিয়ে তার অবস্থা এমন করা হল যে তাকে বেলতে গেলে রাবারের মতন এদিকে টানলে ওদিকে ছোট হয় নয়ত বেলনির চাপটা তুলে নিলেই সে আবার নিজের অবস্থায় ফিরে যেত।

বাড়ির মেয়েদের  ময়দা মাখার সময় বিশেষ ধ্যান দিতে হত যাতে শক্ত না হয় বা ময়ান বেশী হয়ে নিমকি না হয়। ক্লোরেস্টরল বেড়ে যাবে বলে আজ ঘিএর বদলে সয়া রিফাইনে লুচি ভাজা হচ্ছে। কিন্তু সেই ঘিএ ভাজা লুচির স্বাদ আর গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। আর ভাজাটাও হচ্ছে কালে ভদ্রে।

আজকে আমাদের ব্রেকফাস্ট বলতে সাধারনত রুটি সাথে  কম তেলে তৈরী তরকারী। যতদূর সম্ভব আলু বা কুমড়ো না দিয়ে (সুগারের কথা চিন্তা করে)। রুটিটা মাল্টিগ্রেন আটার হতে হবে। ময়দাতে কার্বহাইড্রেট বেশী আর ফাইবার কম বলে তাকে একঘরে করে রাখা হয়েছে।  ময়দার তৈরী ঘিয়ে ভাজা লুচি আজকাল ঠাকুরের ভোগেই দেওয়া হয়। (ঠাকুরের হজম শক্তি জোরদার)। এমনকি জামাই ষষ্ঠীতে জামাইকেও এটা দেওয়া হবে না (মেয়ে তার স্বামীর জন্য মাকে আউটরাইট নাকচ করে দেবে)"ওটা ওর সহ্য হয় না দিও না।"তিমধ্যে যদি কিছুটা তৈরী হয়ে গিয়ে থাকে তবে সেটা মেয়ের জলখাবারে যাবে।

আগে জলখাবারে মিষ্টি থাকতোই। রসগোল্লা, নয়ত সন্দেশ কিছু না হলে ঘরে তৈরী নারকেল দিয়ে তৈরী নাড়ু বা ছাপা। বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান হলে সরু চিড়ে, মোটা চিড়ে, গঙ্গাজল ইত্যাদি। এই তিনটেই কিন্তু মিষ্টির নাম। সুগারের দোহাই দিয়ে আমরা এই মিষ্টি জিনিষটার চল প্রায় তুলে দিচ্ছি। আর মিষ্টি ঘরে তৈরী করার মত সময়ও কার কাছে আছে?


দুধ বলে আমরা আজ যেটা পাই সেটা মিল্ক পাউডার গোলা জল। আসল গরুর দুধ কোথায়? মাখনের বদলে বাটার অয়েল মেশান হয়। কাজে ঘি তোলার জন্য যদি সর  জমানো হয় তবে সেটা ঐ বাটার অয়েলের ঘি হবে। আসল নয়। কাজেই তাতে কোন গন্ধ থাকে না।

মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১২

হঠাত কি কোন কিছু হয়?


আমরা আজকাল কি কোন কিছু হঠাত করে করতে পারি? শ্যামবাবু আমাকে রাস্তায় দেখা হওয়াতে জিজ্ঞেস করলেন 'হঠাত আপনি আজকে বাজারে?' আমার বাজারে যাওয়াটা যদিও রোজকার ব্যপার নয় তবুও সেটা হঠাত বলে কেন গোনা হবে?  আমরা কি কোন কিছু হঠাত করি বা করতে পারি?

ছেলের জন্মের আগে থাকতে ছেলের স্কুলে ভর্তি হবার দরখাস্ত দিতে হয়েছে। কার্যত তার জন্মসময়টাও হিসেব করে ঠিক করা হয়েছে যাতে শুভলগ্নে সে জন্ম নেয়মার প্রসব ব্যথা না ওঠাতে তাকে অপারেশন করে ভূমিষ্ঠ করান হয়। এর জন্য প্রচুর হিসেব অঙ্ক করে সময়টা ঠিক করা হয়েছিল। বাস্তু, ফেং শুই, তন্ত্র ইত্যাদি ইত্যাদি। জন্মের পাঁচ বছর পরে তিনি ক্লাস ওয়ানে যাতে যেতে পারেন, মানে নার্সারীর আগে তিনি দু বছর পূর্ণ করে নিতে পারে সেই দিকটাও খেয়াল রাখতে হয়েছে।  পরে জন্ম নিলে তাকে ভর্তি হবার জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হত আর আগে জন্ম নিলে প্রবেশিকা পরীক্ষাতে সে এক বছর বুড়ো হয়ে থাকত

এখন অবশ্যি ক্লাস পরীক্ষাতে পাশ ফেল উঠে গেছে।, নয়ত পরীক্ষাতে কোন কোন চ্যাপটার আসতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আগে থাকতে হিসাব করা দরকার পড়ত। এই অংশটা পর পর দু বছর এসেছে এবার আসবে না তাই বাদ, এটা বেশ কিছুদিন দেয়নি, তাই আসবে। এবং এটা রেসের মাঠে ঘোড়ার ফোরকাষ্ট করার চেয়ে বেশী এক্যুরেট (নিশ্চিত) ছিল। কাজেই কোন প্রশ্ন হঠাত আসতে পারত না।

খেলাধুলাতে বিশারদদের আগামী প্রত্যেক বছর কবে কোথায় থাকবেন সেটা ডোপিং কাউন্সিলে জানাতে হবে যাতে তারা প্রয়োজনে বাসর ঘর থেকে তুলে নিয়ে ডোপ টেষ্ট করাতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা হাসপাতালে প্রসবকালীন সময়েও হতে পারে।

বাপ ঠাকুর্দাদের চার মাসের নোটিশ দিয়ে মরতে হবে যাতে আত্মীয়স্বজন আগাম ট্রেনের রিজার্ভ টিকেট কাটতে পারে তাছাড়া ট্রেনের টিকিট কাটার আগে রেলের ইউনিয়নদের প্ল্যান প্রোগ্রাম জানার দরকার কারন ঐ সময় কর্মচারীরদের ধর্মঘট বা অমুক ঠিকাদারকে কেন ঠিকা দেওয়া হবে তা নিয়ে রেল অবরোধ কর্মসূচী থাকবে না এটাও নিশ্চিত হতে হবে। এটা একটু কষ্ট সাধ্য ব্যপার কেননা তারা সাধারনত এগুলো করার আগে ঠিক না করে, পরে ঠিক করে নেন যে কতদিন চলবে (পাহাড় বা জঙ্গলমহল বন্ধের কথা আলাদা। ঐ সব জায়গাতে কবে থেকে, কতদিন ধরে এসব কাগজে ছেপে  করা হয়)।

মাসে মাসে ছেলে মেয়ের স্কুল কলেজের মাইনের জন্য তারা জন্ম নেওয়ার আগে থাকতে টাকা জমাতে হবে এবং হিসেব করতে হবে আগামী প্রত্যেক বছর ইনফ্লেশনের দর কত থাকবে এবং বাচ্চারা যখন বড় হবে তখন তাদের পড়ার খরচ কত করে হবে।

অ্যাকসিডেন্ট কথাটার অর্থ হঠাত দুর্ঘটনা। এটার মানে আজ পালটে গেছে কেননা  আমি নিশ্চয়ই কোন কাজে ওখানে গিয়েছি আর দুর্ঘটনার কার্যকারনও তার নিজের দরকারে ওখানে গিয়েছে, এবং তাহলে সেটা হঠাত কোন ঘটনা নয়।

লোকে বলে বাঘে খাওয়া বা সাপে কাটা কপালে থাকলে হঠাত হয়। কিন্তু এটাও কি হঠাত? লোকটা নিশ্চয় বাঘের আড্ডাতে তার সাথে গল্প করতে গিয়েছিল নয়ত বাঘটা তাকে গায়ের গন্ধে ছাগল বলে ভেবেছিল। সাপটা নিশ্চয় তার চরিত্র বুঝে  একটা রাজসাপ ভেবে আক্রমণ করেছিল, কিম্বা সে সাপটাকে তার প্রতিপক্ষ ভেবেছিল এবং অসম যুদ্ধে নেমেছিল।

লিখতে লিখতে বিদ্যুৎ বাবু চলে গেলেন। গিন্নী বলল, যাঃ কারেন্ট হঠাত চলে গেল। আমার কথা এটাও হঠাত নয়। যাতে মেশিনের ক্ষতি না হয় তাই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা জেনে শুনেই সুইচ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা হঠাত নয়।

অবশ্যি একটা জিনিষে হঠাতই হয়েছে। এই লেখনটা আমার মাথায় কেন জানি না খাবার সময় এসেছে আর খেয়ে উঠে সেটাকে কম্প্যুটার লিখে ফেলছি।

আমার এই লেখাটা আপনাদের কি রকম লাগছে জানাবেন কিন্তু


সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

বাংলা লেখা বাঙ্গালীর পক্ষে সোজা কি ?



বাংলাতে কিছু লেখা অত সোজা বলে মনে হলেও কাজের বেলায় দেখা যাচ্ছে জিনিষটা বেশ কঠিন, বিশেষ করে যদি কোন ব্যাকরণ-বিশারদ আপনাকে সাহায্য করার জন্য উদ্গ্রীব হন। ব্যাপারটা হচ্ছে আমরা কোন শব্দের আগে উপসর্গ লাগিয়ে নতুন শব্দ তৈরী করি, যদিও কিছু শব্দের আগে কিছু উপসর্গ আমরা দেখতে পাইনা। যেমন আমরা বাদ শব্দের আগে উপসর্গগুলিকে যদি দেখি তবে কি পাব?
পরা +বাদ = ??নি+ বাদ= ??নির+বাদ= ??অভি+বাদ =??উত+বাদ=??।  অতি+বাদ=?? পরি +বাদ= ??অপি +বাদ= ??আ+বাদ =??
অথচ আমরা  পরাভব, নিমন্ত্রন, নিরাপদ, অভিবাদন, উতপত্তি, অতিশয়, পরিণতি, আনত এর মত শব্দ পাই। তাহলে দেখতে পাচ্ছি সব উপসর্গ, যে কোন শব্দের সাথে যাবে না।  ভেবেছিলাম আমার দরকার মতন উপসর্গ লাগিয়ে নিতে পারব। তাহলে অপশক্তি র মত আমি কি অপদেশ লিখতে পারব? ( আদেশ, নির্দেশ, উপদেশ, প্রদেশ, সন্দেশ সব পেয়েছি, অবশ্যি রসগোল্লা পাইনি)   এখানেই আমার মতন লোকেদের বিপদ। কে কার সাথে গাঁটছড়া বাঁধবে তা ঠিক করার মতন ঘটক কোথায় পাব?  আমি ছাতা বগলে নিয়ে ধুতি শার্ট পরে চটি পায়ে চলি না। অতএব আমি ফেল। আবার এই উপসর্গরা যে চিরকাল আইবুড়ো থাকে বা থাকবে তাও নয়। কে কখন কার সাথে জোট বেঁধে বিরাট বাংলা শব্দ সমূদ্রে  যে কোথায় সাঁতার কাটছে তা কে জানে। আর তা ছাড়া এই শব্দের উপসর্গরা, কিন্তু রোগের উপসর্গের চেয়ে কম কিছু নয়। রোগের উপসর্গ তার আবির্ভাব এবং অধিষ্ঠান বুঝতে সাহায্য করে, কিন্তু শব্দের উপসর্গরা এসে যার ঘাড়ে চাপে তার চেহারাটাই বদলে দেয়।
আমার সাহায্যকারী (একে আমরা কি পন্ডিত মশাই বলতে পারি?) মহাশয় আমাকে রোজ অভিধান কিনতে বলেন। আমি বলি, ধান থেকে চাল হয় তাই সেটা কিনতে পারি, কিন্তু অভিধান থেকে কি হয় যে সেটা কিনব? তিনি রাগ করে বলেন তুই চিরকাল মুর্খই থাকবি। আমি ভাবি একটা মুখে খাবার দিতে পারিনা, আবার রেফ যুক্ত মুখকে কি করে খাওয়াব।
শব্দচয়ন এর গণ্ডগোল ছেড়ে এবার দেখি লেখার যন্ত্রপাতির ব্যপারকে। আগে ছিল খাগের কলম। মাদার গাছের ছাল জলে ফুটিয়ে খয়ের মিশিয়ে বা লোহার সাথে নিশাদল মিলিয়ে কালি তৈরী করে শুখনো তালপাতার উপর খাগের কলম দিয়ে লেখা হত। আজকাল জলা জমি বুজিয়ে উঁচু উঁচু বাড়ী উঠছে, খাগ আর পাওয়া যায়না। আমি কি দিয়ে লিখব ভাবতে শুরু করার পরে নাতি হলেন উপদেষ্টা। বলে "ওসব ম্যামথদের আমলের জিনিষ নিয়ে কাজ হবে না। তুমি কম্প্যুটারে লেখ"যখন জিজ্ঞেস করি আমাকে কি ঠেলাগাড়ীতে কম্প্যুটার নিয়ে এখানে ওখানে যেতে হবে। নাতি বলে "তা কেন? ট্যাবলেট দিয়ে লিখবে। আর ভারী তো তুমি এদিক ওদিক যাও"দেখলাম মন্দ কথা নয়। কম্প্যুটারে চাবি টিপে টিপে লেখা যাচ্ছে। বুঝলাম আমার নাতির ছেলে বা নাতিরা কিছু লেখা  মানে কম্প্যুটারে চাবি টেপা ছাড়া আর কিছু জানবে না। ে কার লিখতে উপর থেকে নীচে না নীচের থেকে উপরে হাত ফেরাতে হয় সেটা ওদের অজানাই থেকে যাবে।

আমি কিন্তু আজকে সেই সে দিন কি ভয়ঙ্কর তা ভাবছি। লোকেরা চিঠি লিখছে না। কেউ কিছু কলম পেন্সিল দিয়ে লিখছে না। গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে। গাছে গাছে পৃথিবী ঘন ছায়াময় জঙ্গলে বদলে গেছে। আর আমরা হাতে মিনি ট্যাবলেট নিয়ে তাতে বই পড়ছি, কথা বলছি, কিন্তু না লিখে লিখে আঙ্গুলের চেহারা বদলে ফেলেছি। কিছু খুব দরকার হলে প্রচুর কষ্ট করে লিখছি।

কি হবে তখন?  

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

Heated discussion between old couple

An old couple had some hot discussion between them while expecting their grandchildren's visit to them. Gran-ma wanted to pamper her grandchildren, while the old man has to think about the fiscal issue, but at the same time he does not want to antagonize his better half. The video is in bangla language and below is the translation (what was possible by me)





Discussion we had in the morning
When I switched on my TV
Entry was taken by madam                          
"Stop it man. And now listen to me
Children will be coming today
Have got lot of work on hand
Go to the market and buy something."
Switching off my TV,
I asked  her highness
"Oh ma'am, you are my only cook.
I am only a marketeer
Order me what I've to bring
Chicken, Mutton, Salmon or Carp,
Gourd, pumpkin or creepers,
Drumstick or fenugreek leaves?"
She became enraged and said
"What do you think man?
Are they kids
that I will feed them green vegetables
Go, get about a score of tiger prawn
Should be of good sizes
They like it when cooked on pressure."
Feeling impending stroke,
I took out from my pocket  
Double dose of Sorbritrate
And put those in mouth
Said somehow feebly,
"Better you put me in the pot
I will be more tasty and hot"
She said,
"Why do you utter such nonsense?
I will die first leaving you here"
"So let it be
But let me go now
Fisher-women will leave if I don't go now
Then you have to clean those prawns
I can't, since my finger is paining
allow me to proceed                  
and please close the door."

Please tell me how am I fared.Comments are eagerly awaited.
          Dilipkumar Bandyopadhyay


শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

বাজারের আগে স্বামীস্ত্রীর কথোপকথন


সকালের বাজারের আগের কথা



খবর শুনব বলে চালিয়েছিলাম টিভি 
 তেড়ে ফুঁড়ে ঘরে ঢুকলেন বিবি
"বন্ধ করো তোমার ওটা,
শোন আমার কথা কটা,
নাতিরা আসছে আজ
হাতে আমার অনেক কাজ,
নিয়ে এস কিনে কিছু
এত বলি ফিরলেন পিছু
বন্ধ করে টিভি খানি
শুধালাম – "হে রাণি,
রাঁধতে তো তোমাকেই হবে
কহ তবে কি বাজার হবে?
আমি তো বাজার সরকার
বলে ফেল কি দরকার।
চিকেন, খাসী, ইলিশ কি রুই
ঝিঙে পটল, কুমড়ো পুঁই
সজনে ডাঁটা, মেথীর শাক
অমনি হল প্রচন্ড রাগ
"নাতিরা আমার নয়কো ছাগ
যে আমি তাদের খাওয়াব শাগ
গলদা চিংড়ি দেখে শুনে
নেবে গোটা কুড়ি কিনে,
পছন্দ ওদের চিংড়ী ভাপে
যদি হয় বড় মাপে
এই না শুনে আমি স্ট্রেট
পকেট থেকে সরবিট্রেট নিয়ে
জীভের তলায় দিয়ে
খাবি খেয়ে বলি, "এখন তো মাসের শেষ
আমাকে ভাপে দিলে জমবে বেশ"
উত্তর এল – "বালাই ষাট
হয়েছে আমার ঘাট,
কি সব অলুক্ষুণে কথা
মনে আমার দেয় গো ব্যথা
বেচে থাক আমার শাঁখা সিঁদুর
হও যেন তুমি বিধুর
মরব আমি তোমার আগে
ভুগবে তুমি উল্টো রাগে"
বলি আমি, "শুভমস্তু
তাই হবে, তথাস্তু!
কিন্তু আর দেরী হলে
মেছুনীরা যাবে চলে
আস্ত চিংড়ি নিয়ে
ছাড়াবে কি তুমি প্রিয়ে
করবে কে পরিস্কার
আঙ্গুলেতে ব্যথা আমার
যাই তবে ওগো প্রিয়ে
এখন দরজাটা দাও দিয়ে।


আপনাদের কত টুকু ভাল লেগেছে তা জানালে আমার উৎসাহ বাড়বে।নীচে কমেন্টস এ লিখে দেবেন।  ..... দিলীপ কুমার 

My questions to you


My question to you all. I have lost my way please help me out.


The translation of the poem will be something like this :-


"In which direction should I go?
Find alleys in every direction
How to find out which leads where?
Now what should I do
Can't find anyone to guide me
Might have taken a wrong turn at the earlier junction
Now I have to retrace back all the way
My better half is waiting for me at the Shyambazar crossing
Will thrash me out if I am late
So please help me out if you know the way."

Please give your valuable comments at the end of the post. It will be highly appreciated......... Dilip Kumar

নামের মাহাত্ম্য


আমার কোন একটা জিনিষ যেটা আমার চেয়ে অন্য লোকে বেশী ব্যবহার করে একথা কাউকে জিজ্ঞাসা করলে ঠিক উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম হবে। উত্তরটা হচ্ছে আমার নাম। ছোটবেলায় বাবামা আদর করে অনেক সময় এমন নাম রাখেন যেটার মানে আমাদের জানা থাকার সম্ভাবনা কম। যেমন অয়নান্ত। বড় নাম সুর্য্যতিলক কেন? সূর্য্য কিম্বা তিলক হলেই চলত। এক তো বানান ভূল হবার সম্ভাবনা আর তাছাড়া লিখতেও তো সময় লাগে। আবার যাদের ছোট নাম রাখার ইচ্ছে, তারা আজকাল দু অক্ষর থেকে এক অক্ষরের দিকে পা বাড়িয়েছেন। কিন্তু মজা এই যে তারা কেউই ভাবতে পারেন না স্কুল কলেজ বা বন্ধু বান্ধবদের পাল্লায় পরে তাদের দেওয়া অত সুন্দর নামটার হাল কি হতে পারে। নবেন্দু হয়ে গেল নবু, হরিশচন্দ্র হলেন হরে। অনুরাধাকে অনু বা রাধা করা যেতে পারে কিন্তু প্রেমশঙ্করকে না করা যাবে প্রেম, না শঙ্কর খুব সম্ভবত কলেজে ওটা হবে পিএস। তবে মানিকচন্দ্র কে কি মাসি বলা যেতে পারে (মানিকের মা আর চন্দ্রর সি)?
আমার নাম দিলীপ তাকে ছোট করতে অসুবিধা হতে পারে তাই পদবীর উপর আক্রমন করে ব্যানার্জী থেকে করা হল সেটা ব্যান। এই নাম দেওয়ার মালিক আব্রাহামকে আমি বানালাম আবু আর তার থেকে বু। এবার আমাদের দুজন কে একসাথে দেখলে অন্যরা আমাদের ডাকত ব্যানবু বা ব্যাম্বু। ডাকটা শুনে কি বাঁশ দেবার ইচ্ছে হয়না?
এ অভ্যাসটা বোধহয় কম কথা বলে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য। কিন্তু শীলা বলতে যত সময় বা নিশ্বাসের খরচ হয়, শিলী বলতে তার থেকে কম হয় না। তবে এই অভ্যাস টা কেন?
এবার আসা যাক বিশেষ নামের দিকে। আগেই বলেছি আজকাল কিছু লোকেরা দুই অক্ষর থেকে এক অক্ষরের নাম রাখছেন। যেমন শ্রী, ধী। এদের ছোট করব কি ভাবে? পদবী ছোট করে। যদি নামটা শ্রী দে হয় তবে?

লেখাটা আপনাদের ভাল লাগল কিনা জানাতে ভুল্বেন না। নীচে কমেন্টস এ লিখে দেবেন।.. .. .. দিলীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়