সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আমার ঘোষণা


 

শোন তোমরা সবাই, করছি এ কথা ঘোষণা আমি

মন দিয়ে শুনবে সবাই, কেননা কথাটা খুব দামী,

শারদা কান্ডে ঠকেছ তোমরা, সেটা তো তোমাদেরই দোষ

ঘাস ফুলেতে পোকা উড়ে এলে সেটা কি আমার দোষ।

তোমাদের টাকা খেয়েছে যারা হয়তো আমার কাছেরই লোক

সবসময়ে কি দেখে বোঝা যায় কে কে ভদ্রলোক।

ভেবেছিলাম সবকটাকে পাঠাব নদীর পার

কিন্তু তাতে যে হচ্ছে আমার লোকসানই সার

দেখছি ঠকেছ তোমরা সর্ব সমেত লাখ বিশেক লোক

তাই কিছুটা হলেও তোমাদের ভরপাই করা হোক,

টাকাটা নেব কেন্দ্রের থেকে উন্নয়নের খাতে

শুরু হবে দেওয়া পুজোর আগে, নগদ হাতে হাতে।

প্রথম সারিতে আসবে আমার জন্যে ভোটে খেটেছে যারা

পেটো বাঁধতে গিয়ে যে সব ছেলেরা গিয়েছে মারা।

পরের সারিতে আসছে নেতার বোনাই, নেত্রীর ভায়ের দল

তার পরেতে আসছে আমার মা মাটী মানুষের দল।

টাকা যদি কম পড়ে দেব কেন্দ্রকে গালি

কেননা রাজ্যের ভাঁড়ে মা ভবানী, কোষাগারটা খালি।

কেন্দ্র না দিলে তোমাদের দেওয়াতো যাবে না ভাই

তা স্বত্বেও তোমাদের ভোটটা কিন্তু আমার চাই।।

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ওবামার সিগারেট পান


শ্রীযুক্ত ওবামা, করতেন ধূম্রপান,
মনের আনন্দে দিতেন দু চারটে সুখের টান,
একদিন শ্রীমতি মিচেল,
কথাটা যখন বললেন তখন হয়তো বিকেল,
"দেখুন আপনি ধোঁয়া খেয়ে কি সুখ পান
অনেক বলেছেন এবার ছাড়ছি
কাছি আমি তো আছি
আর কি দরকার আপনার"
শ্রীমান ওবামা বুঝলেন এবার
সময় হয়েছে সিগারেটকে করতে বহিস্কার,
 শুরু হল সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা
না পারলে যে বিগড়ে যাবে কেসটা
কেননা মিচেল বলেছে, "বল কাকে চাও তুমি
তোমার ঐ পুঁচকে সিগারেট না আমি"?
এ কথা শুনে শ্রী ওবামা ভীত হলেন,
এটাও বুঝলেন
 যে পড়ে গেছেন ধরা
নিশ্চয় কেউ দেখেছে তার এই চুরি করা
যাওবা দিতেন মাঝে মধ্যে দু চারটে সুখটান
পড়েছি তো ধরা হয়েও এত সাবধান
বুঝলেন করতে হবে সিগারেটকে বহিস্কার,
নয়তো মিলবে এবার মিচেলের তিরস্কার
এবং হয়তো বা তারই বহিস্কার।।

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আবোল তাবোল কাব্য

 

কবিবর শ্রীযুক্ত কপিধ্বজ শর্মা
লিখেছেন কদিনে গোটা ছয়েক কবিতা
সবাই জানে বসিয়েছেন খালি কথার পিঠে কথা
তাই শোনাতে এলেই লোকে পালাচ্ছে বার্মা।

গায়িকা গীতিকা সেন
কীর্তনের ঢঙে ফাংশনে কাজরী গাইতেন
একবার সবাইকে নাচাবেন বলে
ষ্টেজে উঠলেন জুতো খুলে
দুমিনিট নেচে যেই হোঁচট খেলেন
ভয়েতে ষ্টেজ থেকে নেমে এলেন।

চিত্রকার বর্ণালী রঙ্গনাথ
দেওয়ালে চূণকাম করে পাকিয়েছেন হাত
তার কিছু উত্তম নিদর্শন
করবেন গ্যালারীতে প্রদর্শন
আশা আছে শোনা যাবে কেয়াবাত, কেয়াবাত।

ভাস্কর বিশ্বকর্মা বিশ্বাস
নিয়ে একটা লম্বা শ্বাস
বললেন একটা হাতী বানাতে চাই
একবার এদিকে ছাটেন
আবার ওদিকে কাটেন
শেষমেশ শালগ্রাম শিলা বানালেন ভাই
লোকে দেখে বলে আমারও যে একটা চাই।

লেখক শ্রীমান বন্দ্যোপাধ্যায়
কি ভীষণ লেখেন, হায় হায়
যায় নাকো পড়ে বোঝা
বলেন কিন্তু খুবই সোজা

কিন্তু আমার লেখাতো সবার জন্য নয়।।

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ফেটসু এবং ঘেরাও

প্রায় ৪৩ ঘন্টা হতে চলল যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্ররা তাদের অযৌক্তিক দাবীতে উপাচার্য, সহ-উপাছার্য এবন রেজিস্টার কে ঘেরাও করে রেখেছে। তাদের দাবী, র‍্যাগিঙ্গের অপরাধে দোষী ছাত্রদের কোন শাস্তি দেওয়া চলবে না। মানে আমরা হোস্টেল, কলেজে নতুন ছাত্রদের উপর যা খুসী তাই অত্যাচার চালাব তাতে কতৃপক্ষের কিছু বলা চলবে না। এরা আপাতত ঠিক করেছে মাননীয় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আমার মতে রাজ্যপালে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন  যাতে করে শাস্তির পরিমান বাড়ান হয় এবং ঘেরাও কারী ছাত্রদের মূল পান্ডাদেরকেও ঘেরাও করার অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়। আমার ভাবতে আশ্চর্য লাগে যে আমিও কি এই কলেজের ছাত্র ছিলাম? কবে এদের বুদ্ধি বিবেচনা হবে?

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কি ওজন বাবারে বাবা?

খবরের কাগজের দেখলাম একজন বক্সারের ওজন মাত্র সাড়ে ছ কুইন্টাল। চোখটাকে রগড়ে আবার পড়লাম। সত্যি লেখা আছে মাত্র ৬৬৬ কেজি বা ১৪৭০ পাউন্ড। ভাবছি তার ঘুষির ওজন কত হবে? আর তাকে কোন ডিভিসনে লড়তে দেওয়া হচ্ছে? সে সব খবর দ্যায় নি। বিশ্বাস্য কি?

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

Malicious posts in mail

BEWARE OF SUCH MAILS.
Yesterday I received a mail in my inbox, which I post it here. The sender is not known to me and asd such I have marked it as spam.
Pleas do not open such mail's enclosure as it may contain malicious voruses amd trojans.
Consider this post is only for information/

The sender of the mail is DBauto.email.
The heading is "E3S1309129369906 Payment advice"
The enclosure is a pdf file of 4kb 
The body of the letter is as under.
Dear Sir / Madam,

Please refer to the attachment for details.

Thank you.


NOTE: Please do not reply to this email as this is a computer-generated e-mail.


Disclaimer:
This e-mail may contain confidential and/or privileged information. If you are 
not the intended recipient (or have received this e-mail in error) please notify 
the sender immediately and destroy this e-mail. Any unauthorized copying, 
disclosure or distribution of the material in this e-mail is strictly forbidden.

E-mail transmissions cannot be guaranteed to be secure or error-free as 
information could be intercepted, corrupted, lost, arrive late or contain 
viruses. The sender of this e-mail therefore does not guarantee the security 
and/or integrity of this information and shall not be liable for any errors or 
omissions in the contents of this message or any information leakage which arise 
as a result of e-mail transmission.

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আমার মত (নিজের দলে না সাধারণের জন্য প্রকাশ্য)

আমি একজন সাধারণ মানুষ কিন্তু আমার একটা স্বাধীনতা আছে যাতে আমি আমার মতামত নির্ভয়ে প্রকাশ করতে পারি। কিন্তু সেটা কাকে শোনান বা পড়ানোর জন্য, শ্রোতা ছাড়া বক্তৃতার কোন মানে হয় না। মনে করা গেল, এবার আমি এক জনসভাতে ( যেখানে সব রকমের মানুষ আছে) রাগবী খেলার বিশেষ কোন টেকনিক নিয়ে যদি বলি তাতে করে মনে হয় যারা রাগবীর র জানেন না তারা পালিয়ে যাবেন, কিন্তু এটা যদি রাগবীর ছাত্রদের সামনে বলা হয় তবে কিন্তু হাততালি পেতে কোন অসুবিধা হবে না। তার মানে এই দাঁড়াল যে সব কথা সবার সামনে বলা বা লেখা যাবে না, অর্থাৎ আমার ফেসঁবুক পেজে আমার বন্ধুরা যদি তাদের এমন মতামত দিতে থাকন যেটা সম্বন্ধে আমি মোটেই উৎসাহ রাখি না তবে সেটা আমাকে জোর করে পরানোর মতন হবে। কেউ কেউ বলতে পারেন যে না পড়লেই হল, কিন্তু না পরে বুঝবো কি করে (অন্তত কিছুটা না পড়ে)যে এটা আমার জানার জিনিষ নয়, আমার মতে উপায় একটাই। খেয়াল করে দেখবেন আজকাল মেলে ভাগ করে দেবার বন্দোবস্ত আছে। আমাদের পোষ্ট গুলো সেরকম ভাগ করে দিলে কি রকম হয়, বন্ধু, বন্ধুর বন্ধু, আত্মীয় পরিজন, অফিসের সহকর্মী এরা কিন্তু সবাই আলাদা আলাদা গোষ্ঠিতে আছেন। এদের জন্য আলাদা পোষ্ট করাই ঠিক হবে একটা হেডিঙ্গের খালি দরকার । আমার এই লেখার জন্য সেই হেডিং বা ট্যাগ হোক মতামত।   

বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

একজন ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক জনসাধারণের পকেট থেকে কি নেয়?

না আমি লোকেদের পকেট থেকে চুরি করার কথা বলছি না। ভারত বর্ষে প্রতি বছর বেশ কয়েক হাজার ( বোধ হয় লাখ) ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক হয়। আপনারা হয়ত ভাবছেন তাদের পড়ার সমস্ত খরচ তাদের পিতা মাতা বা অন্য শুভানুধ্যায়ী বহন করে থাকেন। কিন্তু কথাটা সত্য নয়। আপনি আমি আমাদের সরকারের কাছে যে রাজস্ব জমা দিই তার বেশ কিছুটা এদের পেছনে খরচ হয়। কেন? তারা স্নাতক হয়ে ভারতবর্ষে কাজ করবেন, ভারতের উন্নতি করবেন। কিন্তু যখন দেখি IIT থেকে বা অন্য কলেজ থেকে পাশ করতে করতে বা করার পরেই তারা প্রথমে উচ্চ শিক্ষা নিতে বা উচ্চ শিক্ষার নাম করে বিদেশে পাড়ি দেন তখন কিন্তু আমার আপনার টাকাটা বরবাদ ছাড়া আর কিছু হয় না। আপনি ভাবতে পারেন এদেশে থাকলে তারা চাকরী পাবেন না। কথাটা , (কিছুটা,- পুরোটা নয়) সত্য বলে মনে হবে। কিন্তু সত্যি কি তাই। ভারত সরকার কি খোঁজ রাখেন যে তার তৈরী IIT বা Management College  থেকে পাশ করার পরে শতকরা কত ভাগ বিদেশে চলে গেছেন এবং তাদের কত ভাগ ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। 
তাই আমার মনে হয় এই সব কলেজে ভর্তি হবার আগে তাদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নেওয়া উচিত যে তারা ভারত ছেড়ে যাবেন না।গেলেও পাশপোর্টে সেই অনুযায়ী লেখা থাকা উচিত।

শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি

মহামান্য রাজ্যপালের মন্তব্য,  যে সব ছাত্ররা তাদের শিক্ষকদের ধরে মারে তাদের পেটান উচিত  মৌচাকে ঢিল মেরেছে। অবশ্যি তার পক্ষে পেটান কথাটার ব্যবহার শোভন হয়নি। কিন্তু মাঝে মাঝে সত্য কথা লোকেদের পছন্দ হয় না। আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে আমার ছাত্র জীবন শেষ হয়েছে। তখনও ছাত্র পরিষদ ( শ্রী চিত্ত মজুমদার) আর ষ্টুডেন্টস ফেডারেশনের লড়াই ছিল। কিন্তু হাতাহাতি হয়নি আর ছাত্র ইউনিয়ন থেকে রাজনীতিকরা উঠে এলেও তাদের চিন্তাতেও আসে নি যে শিক্ষকেরা তাদের বিরোধী পক্ষ। 
তৃণমূলের সব কিছু বদলে দেবার রাজনীতির একটা দিক হচ্ছে যা কিছু পুরনো তা ভুল এবং আমরা যেটা চাই সেটা ঠিক। এর জন্য সহনশীলতা একেবারেই নেই। আর তুমি যদি আমাকে মার হয়তো আমি দু একবার মার খাব কিন্তু তার পরে আমি কিন্তু তোমাকে আনেক জোরেই মারতে পারি একথা কারুরই মার দেবার সময় মনে থাকে না। তৃনমুলের পক্ষে একথা বলা যেতে পারে যে তারা দীর্ঘ সময় ধরে গদীতে আসার জন্য অপেক্ষা করে ছিল এবং গদী পাবার পরে কোন কিছুতে আর তর সইছে না।
অতএব কি উপায়? আমার মতে রাজ্যপাল সঠিক কথাই বলেছেন খালি কে মারবে সেকথা উহ্য রেখেছেন।

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ফেসবুকে রাজনীতি

গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে কিছু ভারত বংশীয় তাদের মতামত, সেটা মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে বা সর্দার মনমোহন সিং ভাল প্রধান মন্ত্রী এই ভাবে লেখা হচ্ছে। আবার কিছু লেখা এমন আসছে যেটা সাম্প্রদায়িক মনোভাব  ছড়াচ্ছে। ভারতে কে প্রধান মন্ত্রী হবে্ন সেটা ভারতে বসবাসকারীরা ঠিক করবেন অনাবাসী ভারতীয়রা না। তারা ভারতের বাইরে থেকে ভারতের নামে অনেক কিছু লিখছেন এবং কিছু ভারতীয়রা সেটাকে বাহবা দিয়ে যাচ্ছেন। ভারতের  সবই খারাপ, তারা যেখানে সেখানে থুতু ফেলে, তারা সাম্প্রদায়িক, ভারতীয় আতঙ্কবাদী মাত্রেই মুসলমান এসব লেখার কারন কি। সুস্থ সমালোচনা করুন। আপনার মতামত দিন। হায় রে বলে ছেড়ে দিলে কি উন্নতি হবে? এ ব্যপারে আপনাদের মতামত জানলে ভাল হয়।