বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

পুজার কথা (৫)


দিলীপ আর অশোক যতক্ষণ কথা বলছে তক্ষণে দিলীপের শোবার ঘরে মিনতি পূজাকে টেনে নিয়ে গিয়ে একেবারে সি আই ডির জেরা শুরু করে দিয়েছে। প্রথমে থতমত খেলেও শেষ পুজা বুঝতে পারল, এটা আর একটা র্যা গিং হচ্ছে। দেখতে ছোটখাট হলেও ধানি লঙ্কার জাত, কাজেই দেখি কে জেতে, কে হারে, ধরে নিয়েই তার উত্তরগুলো হচ্ছে।

মনে একটু ভয় আছে যে উলটো রিপোর্ট না করে, তাই তেড়িয়া হয়ে জবাব নয়, কিন্তু প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিল।
প্রায় আধ ঘন্টা ধরে এই রকম প্রশ্নোত্তর চলার পরে দুজনে ঘর থেকে বার হল, আর সোজা দিলীপের কাছে হাজির।

এই যে। এই দেখ তোমার হবু ভাইয়ের বউকে। আমার কাছে পাশ মার্ক পেয়েছে, তুমি যদি চাও তাহলে কথা একটু বলে নাও। তবে সাহস আছে, মেসো না মানলেও এ কিন্তু অশোককে ছাড়বে না। এখন চিন্তা কর কি ভাবে কি করবে। বেশী দেরী করা চলবে না। অশোকের তো হায়দ্রাবাদে জয়েনিঙ্গের সময় এসে গেল। ওখানে গেলে এক বছর তো ছুটি পাবে না। এত আর তিনদিনের ক্যাসুয়াল লীভ নয়। এক মাসের মত লাগবে।

ঠাকুরপো, তোমার চিন্তার কারণ নেই। মাকে দিয়ে মেসোকে ম্যানেজ হয়ে যাবে। মার কোন কথাতে আজ পর্যন্ত না বলে নি। বলে রাখি, অশোকের বাবার একটু শালীবাহন বলে নাম আছে।

দুপুরে ভাত খাবার মধ্যে কিছু একটা করার প্ল্যান দিতে পারব। আর তা না হলেও কিছুদিনের মধ্যেই মা তোমাদের বাড়িতে যাবেন কিছু একটা করতে।

খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকেলে বাড়ী ফেরার পথে দুজনে নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নিল যে হায়দ্রাবাদে গিয়ে একটা থাকার জায়গা জোগাড় হয়ে গেলে পূজাকে খবর পৌছাবে চলে আসার জন্য। তার মধ্যে যদি পূজার বাবা বিয়ের কথা মেনে নেয় তো অশোক কিছু একটা করে চলে এসে বিয়েটা তিন দিনের মধ্যে করে নেবে আর নয়ত ওখানে পূজা গেলে বিয়ে রেজিষ্ট্রী করে হবে।

এদের কথা তো শুনলাম। এবার পূজার বাবা মার কথাও একটু শুনে নিই না, তাঁরা কি ভাবছেন।

চলবে----




1 টি মন্তব্য: